প্রকাশিত: ১৮/০৮/২০১৬ ৯:৪৯ পিএম

Picture1যুবরাজ চৌধুরী, কক্সবাজার:
গত ১১ আগস্ট IIUC এর ভাড়া করা বাস দুর্ঘটনায় আমার বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু কোন নিছক দুর্ঘটনা নয় এটি একটি হত্যাকান্ডের শামিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পনা, দুর্নীতি এবং সীমাহীন লোভের শিকার আমার বোন। নিজস্ব পরিবহনের কোনরকম ব্যবস্থা না নিয়েই নিজেদের “শিক্ষা ব্যবসা” রক্ষায় মাত্র দুইদিনের নোটিসে তাদের বহদ্দারহাটের ফিমেল ক্যাম্পাসের ছাত্রীদের কুমিরার স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে বাধ্য করা হয় । অথচ এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য শহরের লোকাল সিটি সার্ভিসের বাস ভাড়া করে কর্তৃপক্ষ, সেগুলোর মান যাচাই না করেই সিটি সার্ভিসের বাসগুলো দিয়েই হাইওয়েতে তাদের ছাত্রীদের যাতায়াতে এক প্রকার বাধ্য করে। এই বাসগুলোর ফিটনেসবিহীন, অযোগ্য, অদক্ষ চালক দ্বারা চালিত এবং এই চালকদের হাইওয়েতে কোন বাস চালনার অভিজ্ঞতা ছিলোনা। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের পরেও কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করে নাই। এবং এই সিটি বাসগুলো দিয়ে ছাত্রী পরিবহনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রতিনিধি থাকতোনা তদারকি করার জন্যে।শহরের ক্যাম্পাস নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল, প্রয়োজনে সেটি আরো কিছুদিন দীর্ঘায়িত করে সময় নিয়ে নিজস্ব মানসম্মত বাসের ব্যবস্থা তারা করতে পারতো, কিন্তু সেটা তারা করে নাই। এইদিকে অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা ঠিকই হাতিয়ে নিয়েছে।

আমি আমার বোন নেহলীনকে হারিয়েছি, কিন্তু আমি চাই না আর কেউ এভাবে কারো অব্যবস্থাপনা এবং মুনাফার লোভের শিকার হয়ে আমার বোনের মতন প্রাণ হারাক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখলাম তাদের Logistics Management Department (LMD) এর কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে দায় সারতে চাইছে কিন্তু নিশ্চয়ই এটা কোন কার্যকর পদক্ষেপ না। এই LMD বিভাগের যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাদের কার্যক্রমের তদারকি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন কি দায় নেই?! এই ব্যর্থতার দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকেই বহন করতেই হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মায়াকান্না করে আমার পরিবারের সাথে আপোষ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতা কোনভাবেই স্বীকার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কিছু “দালাল” বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে একইসাথে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো শোক সভার আয়োজন করেছে আজ সকালে (১৪ আগস্ট) যেটিতে আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও উপস্থিত থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিন্তু আমরা পারিবারিকভাবে এসব লোক দেখানো এবং দায়সারা শোকসভা বয়কট করেছি। আমার বিশ্বাস IIUC এর বাকি ছাত্র-ছাত্রীরাও আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করবেন।

পাঠকের মতামত

সাতকানিয়ায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল উখিয়ার কিশোরের

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ...